• ৫ আষাঢ় ১৪৩২, রবিবার ২২ জুন ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

CPM

রাজনীতি

জ্যোতি বসু সেন্টার ফর সোশ্যাল স্টাডিজ এন্ড রিসার্চের উদ্বোধনে কারাট, হাজির বাংলাদেশের সঙ্গীত শিল্পী

নিউটাউনে রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসুর স্মরণে নির্মীয়মান জ্যোতি বসু সেন্টার ফর সোশ্যাল স্টাডিজ এন্ড রিসার্চ এর প্রথম পর্যায়ে ভবনের আজ উদ্বোধন হয়েছে। উদ্বোধন করেন সিপিআইএম এর পলিটব্যুরো ও কেন্দ্রীয় কমিটির কো-অর্ডিনেটর প্রকাশ কারাট। উপস্থিত ছিলেন বামফ্রণ্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু, সিপিআইএম-এর রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম, কেন্দ্রীয় কমিটি ও পলিটবুরো সদস্যরা, বিশিষ্ট সংগীত শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা প্রমুখ। রকাশ কারাট বলেন,জ্যোতি বসু দেশের কমিউনিস্ট আন্দলনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছিলেন। বর্তমানে দেশে যেখানে উগ্র হিন্দুত্ব ও সাম্প্রদায়িকতা ছড়ানোর চেষ্টা হচ্ছে সেখানে এই প্রতিষ্ঠান তথ্য সমৃ ধ গবেষণার মাধ্যমে সমাজের প্রকৃত আর্থ সামাজিক ও রাজনৈতিক চিত্র তুলে ধরবে। সিপিআইএম এর রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম বলেন, কেন্দ্র ও রাজ্য কোনো সরকারই কোনওবিষয়ে সঠিক তথ্য প্রকাশ করছে না। সেই কারণে গবেষণার প্রয়োজন। বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে স্বাধীন ধর্মনিরপেক্ষ গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে দেশকে আরো সুদৃঢ় করতে এই প্রতিষ্ঠানের বড় ভূমিকা থাকবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। দো তোলা ভবনের নিচতলায় জ্যোতি বসুর সাথে সম্পর্কিত বিভিন্ন নথি নিয়ে গ্যালারি ও দোতলায় একটি লাইব্রেরি করা হয়েছে।

জানুয়ারি ১৭, ২০২৫
রাজনীতি

প্রয়াত বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য, কাল দেহ শায়িত থাকবে আলিমুদ্দিন স্ট্রিটে সিপিআই(এম) রাজ্য দপ্তরে

রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যে প্রয়াত। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮০ বছর। ২০০১ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত টানা ১১ বছর রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন বুদ্ধদেব। বৃহস্পতিবার সকালে বুদ্ধদেবের মৃত্যুর খবর জানান তাঁর সন্তান সুচেতন ভট্টাচার্য। জানা গিয়েছে, সকালেও বুদ্ধদেববাবু প্রাতঃরাশ করেছিলেন। তার পরেই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। সকাল ৮টা ২০ মিনিটে পাম অ্যাভিনিউয়ের বাড়িতেই তিনি প্রয়াত হন। এখন তাঁর মরদেহ তাঁর পাম অ্যাভিনিউয়েত বাসস্থানেই থাকবে। তাঁর শেষ ইচ্ছানুযায়ী চক্ষুদানের ব্যবস্থা হয়েছে।দুপুর ১২:৩০ টার সময়ে পিস ওয়ার্ল্ডে তাঁর মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে। আগামীকাল সকাল ১০:৩০ থেকে ৩১, আলিমুদ্দিন স্ট্রিট, সিপিআই(এম) রাজ্য দপ্তর মুজফফর আহমদ ভবনে সর্বসাধারণের শ্রদ্ধাজ্ঞাপনের জন্য শায়িত থাকবে তাঁর মরদেহ। এরপর সেখান থেকেই বিকেল ৪টে নাগাদ কমঃ বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের মরদেহ নিয়ে শোক মিছিল করে।নীলরতন সরকার মেডিকেল কলেজে মরণোত্তর দেহদান করা হবে।দীর্ঘ বছর ধরেই গুরুতর শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা (সিওপিডি)-তে ভুগছিলেন বুদ্ধদেব। অসুস্থতার কারণে বিগত কয়েক বছর কার্যত গৃহবন্দিই ছিলেন পাম অ্যাভিনউর ছোট্ট ফ্ল্যাটে। আগেও একাধিকবার হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয় তাঁকে। ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসে প্রবল শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন বুদ্ধদেব। সেই সময়েও কয়েক দিন ভেন্টিলেশনে রাখতে হয় তাঁকে। সেখান থেকে বিপন্মুক্ত হয়ে বাড়ি ফেরেন। গত বছর ৯ অগাস্ট হাসপাতাল থেকে বিপন্মুক্ত হয়ে বাড়ি ফিরেছিলেন বুদ্ধদেব। ২০২১-এ কোভিডে আক্রান্ত হয়েছিলেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের ভাইপো ছিলেন বুদ্ধদেববাবু।

আগস্ট ০৮, ২০২৪
সম্পাদকীয়

এবার বঙ্গে নানা রঙ

দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে লোকসভা নির্বাচন। এবার লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক চালচিত্রে অনেক রঙ। শুরুতে নির্বাচনী লড়াই তৃনমূল - বিজেপি এই binary তে ঘুরপাক খেলেও নির্বাচনের মুখে এসে তা কিছুটা ফিকে হয়েছে। বিভিন্ন ধরনের সংবাদ মাধ্যমে ভেসে ওঠা খবরের নীচে তাকালে এই ছবিটি ধরা পড়বে। সাম্প্রতিক পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফল বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে প্রভাবের দিক থেকে পরিসরে ছোট হলেও নতুন শক্তি হিসেবে নিজেদের প্রমাণ করতে পেরেছে আই এস এফ। তবে, লোকসভা নির্বাচনের মতো বড় মাঠে তারা কতটা নজর কাড়তে পারবে তা এখনও স্পষ্ট নয়।যদি তারা রাজ্যের ৪২ টি আসনের মধ্যে কিছু আসনে সংখ্যালঘু ভোট নিজেদের দিকে কিছুটা টানতে পারে তাহলে তৃণমূলের কপালে দুঃখ আছে। রাজ্যের প্রায় ১২০ টি বিধানসভায় ২০ শতাংশের বেশি সংখ্যালঘু ভোট রয়েছে। ২০০৮-র পঞ্চায়েত নির্বাচন থেকে এই ভোট বামপন্থীদের দিক থেকে মুখ ফেরাতে শুরু করে। ২০১১ র বিধানসভা নির্বাচন থেকে এখনো পর্যন্ত রাজ্যে যে নির্বাচন গুলি হয়েছে তাতে দেখা গিয়েছে সংখ্যালঘু ভোটের প্রায় পুরোটাই কংগ্রেস ও বামেদের থেকে তৃণমূল কংগ্রেস কেই ইভিএম কে বেছে নিয়েছে। ফলে এই ভোটে ফাটল ধরলে তৃণমূল কংগ্রেসের অনেক আসনই প্রশ্ন চিহ্নের মুখে পড়বে।বামপন্থীরা ও এবার দাবি করেছে তাদের স্বাভাবিক মিত্র সংখ্যালঘু ভোটের একটি অংশ তাদের ঝোলায় ফিরবে। পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতায় আসার পথে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের পাশাপাশি দুহাত উপুড় করে ভোট দিয়েছেন রাজ্যের মহিলারা। ২০১৯-র লোকসভা ভোটে কিছুটা কোনঠাসা হয়ে পড়লেও ২০২১-র বিধানসভা নির্বাচনে এই দুই ক্ষেত্রেই ভোটাররাই তৃণমূল সুপ্রিমোকে বিশাল জয় এনে দিয়েছেন।রাজ্যের মহিলা ভোটারদের সন্তুষ্ট রাখতেই লক্ষ্মীভান্ডার ও কন্যাশ্রীর মত প্রকল্প তৃণমূল সরকারের সবচেয়ে বড় হাতিয়ার। সম্প্রতি, সন্দেশখালির ঘটনায় বিরোধীরা তাই সরকারি এই লোহার ঘরে আঘাত হানাই পাখির চোখ করেছে। রাজ্য বিজেপির ছোট বড় মাঝারি নেতারা পশ্চিমবঙ্গের মহিলারা নিরাপদ নয় এই প্রচারে যে জোর দিয়েছেন তা সর্বভারতীয় স্তরে পৌঁছে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রদেশ কংগ্রেস, বামপন্থীরা এবং আই এস এফ ও, এই তিরে তৃণমূল কে বিদ্ধ করা যাবে বলে মনে করছে। গত কয়েক বছর ধরে National Crime Record Bureau র রিপোর্টে মহিলাদের জন্য কলকাতাকে সবচেয়ে নিরাপদ শহর বলা হয়েছে। বিজেপি কে বিঁধতে গেরুয়া শাসিত রাজ্যের তুলনায় এই পরিচিতি কে তুলে ধরেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সন্দেশখালির ঘটনা তাই স্বাভাবিক ভাবেই তৃণমূল শিবিরের উদ্বেগ বাড়িয়েছে।এর পাশাপাশি বিরোধীরা সন্দেশখালির সঙ্গে নন্দীগ্ৰামের ঘটনার মিল রয়েছে বলে প্রচার শুরু করেছেন। তবে এই প্রচারে তৃণমূলের অবশ্য বিশেষ উদ্বেগ নেই। তাঁর কারণ হলো নন্দীগ্রাম এবং সিঙ্গুরে যে জন-অসন্তোষ দেখা গিয়েছিল তা ছিল সরকারি সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে। সন্দেশখালিতে অসন্তোষ কোনো সরকারি সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে নয়, সেখানে মহিলারা পথে নেমেছেন তৃণমূলের স্থানীয় বাহুবলী নেতাদের বিরুদ্ধে। সেই কারণেই কৌশল করে, জোর করে নেওয়া জমি ফিরে পেতে তাঁরা ভূমি রাজস্ব দপ্তরে গিয়ে লাইনে দাঁড়িয়েছেন। পাশাপাশি, যে তৃণমূল নেতারা সেখানে রাজত্ব চালিয়েছেন তাদের আশ্রয় দাতা হিসেবে পুলিশ কে তুলোধুনা করলেও পুলিশের কাছে তারা অভিযোগ নথিভুক্ত করেছেন। একই সঙ্গে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ, প্রতিরোধ ও প্রশাসনের দারস্থ হওয়ার মধ্যে সরকার বিরোধিতা কতটা রয়েছে তা আগামী দিনে ইভিএম-ই বলতে পারবে। তবে এখনো পর্যন্ত সন্দেশখালির রেশ রাজ্যের অন্যত্র ছড়িয়ে পড়ার খবর পাওয়া যায়নি। এই পরিস্থিতিতে যা তৃণমূলকে কিছুটা স্বস্তিতে রেখেছে। সন্দেশখালিতে মোট ১৮টি গ্ৰাম পঞ্চায়েত রয়েছে। এখনো পর্যন্ত দুটি গ্ৰাম পঞ্চায়েতে প্রতিবাদ বা প্রতিরোধের ছবি দেখা গিয়েছে। তবে তৃণমূল কে অস্বস্তিতে ফেলতে বিজেপি ধারাবাহিক ভাবে সন্দেশখালিকে প্রচারের আলোয় রেখেছে। এক সপ্তাহের মধ্যে দুবার পশ্চিমবঙ্গে এসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সন্দেশখালি নিয়ে তৃণমূলকে আক্রমণ করেছেন। এই রাজ্যে মহিলারা তৃণমূলের বাহুবলীদের দ্বারা নির্যাতিত হচ্ছেন এই প্রচারই তাঁর বক্তব্যের সিংহভাগ জুড়ে থেকেছে। নির্বাচন কমিশনের সাম্প্রতিক তথ্য অনুযায়ী পশ্চিমবঙ্গে মহিলা ভোটারের সংখ্যা ৩.৭৩ কোটি। গত লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যের ৪২টি লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে ১৭টিতে পুরুষদের তুলনায় মহিলারা বেশি ভোট দিয়েছেন। এই কেন্দ্রগুলির মধ্যে আটটিতে জিতেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। এই তথ্য থেকেই বোঝা যায় পশ্চিমবঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলির কাছে মহিলা ভোট কতটা গুরুত্বপূর্ণ। এবারে লোকসভা নির্বাচনের মুখে আরেকটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা হলো হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বিচারপতি পদে ইস্তফা দিয়ে বিজেপি তে যোগ দান। অতীতে সুপ্রিম কোর্টের অথবা হাইকোর্টের বিচারপতি পদ ছেড়ে দিয়ে রাজনীতিতে এসে ভোটে দাঁড়ানোর নজির থাকলেও এই রাজ্যে সেই নজির নেই। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এই সিদ্ধান্তে স্বাভাবিক ভাবেই রাজ্য রাজনীতিতে নতুন রঙ লেগেছে। তাঁর পক্ষে বিপক্ষে মত প্রকাশ শুরু হয়েছে।সাম্প্রতিক কালে রাজ্যের শিক্ষাক্ষেত্রে দুর্নীতির মামলায় তাঁর বিচার তাঁকে তুমূল জনপ্রিয়তা দিয়েছে। অনেকেই তাকে প্রকাশ্যে ঈশ্বরের সঙ্গে তুলনা করেছেন। তাঁর এজলাসে ন্যায় বিচার পাওয়ার আশায় থাকা অনেক বিচারপ্রার্থী তাঁর এই সিদ্ধান্তে হতাশ হলেও বিরূপ হননি। এই অবস্থায় আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে তাঁকে বিজেপি যদি প্রার্থী করে তাহলে ভোটযুদ্ধে তাঁর এই জনপ্রিয়তা কতটা ইভিএমে ধরা পড়বে তা দেখার অপেক্ষায় থাকা ছাড়া এই মুহূর্তে অন্য কোনো পথ নেই।

মার্চ ০৮, ২০২৪
রাজ্য

সন্দেশখালিতে আটকাতেই পুলিশ নিয়ে সন্দেহ সিপিএমের মিনাক্ষীর! কেন?

ঘুরপথে সন্দেশখালিতে পৌঁছে গিয়েছিলেন ডিওয়াইএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদক মিনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। সঙ্গে ছিল তাঁর দলবল। তবে, শেষরক্ষা হয়নি। সন্দেশখালির ভিতরের গ্রামে আর ঢুকতে দেওয়া হয়নি বাম সংগঠনের কর্মীদের। পুলিশ তাদের আটকে দেয়। উর্দিধারীরা মিনাক্ষীদের জানিয়ে দেন, ১৪৪ ধারা জারি থাকায় সন্দেশখালির মধ্যে তাঁরা যেতে পারবেন না। যা শুনেই পুলিশের সঙ্গে তর্কাতর্কিতে জড়ান এই বাম নেত্রী। মীনাক্ষী পুলিশকে প্রশ্ন করতে থাকেন, কেন যাব না? আমরা কি তাহলে চলে যাব? থানায় যাব কি? কী করব.. আরে বলুন কিছু। জবাব দেয়নি পুলিশ। এরপরই তাঁর পথ আটকে রাখা বেশ কয়েকজনকে দেখে সন্দেশ প্রকাশ করেন ডিওয়াইএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদক।আগেই সন্দেশখালির মহিলাদের একাংশ দাবি করেছেন, রাত্রিবেলা পুলিশের পোশাকে এসে তাঁদের বাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। মিনাক্ষীর প্রশ্নে এই সেই সন্দেহ যেন ফের চাগিয়ে উঠল।একসময় একদিকে মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়, তাঁর ঠিক উল্টোদিকে পুলিশ ব়্যাফ। চলছে প্রবল বাদানুবাদ। তার মাঝেই হঠাৎ মিনাক্ষী বলে ওঠেন, তোমার নাম কী গো? তোমাদের নেমপ্লেট কোথায়? তারপরই বলে ওঠেন, ছবি তোল, পুলিশের পোশাকে তৃণমূল কর্মীরা এসেছে। মুখ ঢাকা কেন? এরা পুলিশ তো? তাঁর পথে বাধা হয়ে দাঁড়ানো পুলিশ কর্মীদের দেখে মিনাক্ষী বলেন, এদের নখ বড় কেন? নেলপলিশ পরে আছে পুলিশ কর্মী! এরা কেউ পুলিশের লোক নাকি। এদের নখ দেখলেই বোঝা যাচ্ছে এরা পুলিশের কর্মী নয়। সব তৃণমূল কর্মী।পরে মিনাক্ষী মুখোপাধ্যায় বলেন, পুলিশ কী চাইছে সেটা ওদের জিজ্ঞেস করে দেখা হোক। ১৪৪ ধারা যদি থাকেও তাহলে ১৪৪-এ একজন যেতে পারে তো? পুলিশ যেভাবে বলবেন সেভাবে যাব। মানুষের সঙ্গে কথা বলতে তো বাধা নেই। আমাদের কাছে লিখিত অভিযোগ আছে। মানুষ জমি ফেরত চায়, শেখ শাহজাহানদের শাস্তি চায়। পুলিশ, মানুষ, বিডিওর সঙ্গে কথা বলতে চাই। এভাবে বেআইনিভাবে আটকাতে পারে না পুলিশ। এটাই হচ্ছে এই রাজ্যের পুলিশের চরিত্র।বাম নেত্রীর হুঙ্কার, যদি চাষের জমি থেকে থাকে তাহলে তা কীভাবে ভেড়ি হয়ে গেল? আমাদের কাছে লিখিত সব রয়েছে। বেআইনি কাজ করছে। এই বেআইনি কাজের জন্য ওনার (পুলিশ আধিকারিক) বিরুদ্ধেই অভিযোগ করব। মহিলা কমিশনে ওনার বিরুদ্ধে কমপ্লেন করব, তারপর ওনার বিরুদ্ধে মামলা ঠুকব। তারপরে উনি কোন বাড়িতে থাকেন, কোন থানাতে থাকেন, সেই থানাতেও কর্মসূচি হবেএরাই রাতের অন্ধকারে, যারা কমপ্লেন করছে, তাদের বাড়ি ঘরদোর এরা ভাঙছে। যারাই অভিযোগ করছে, তাদের ফোন করে হুমকি দিচ্ছে। যারাই সাহস করে তৃণমূলের বিরুদ্ধে, পুলিশের বিরুদ্ধে কথা বলছে তাদেরকেই এরা ভয় দেখাচ্ছে।

ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০২৪
রাজ্য

মমতার নিশানায় সিপিএম, বিজেপি বিরোধী ইন্ডিয়া জোট কি বড় সমস্যায়?

মোদীকে চ্যালেঞ্জ ছুড়লেন, কিন্তু একইসঙ্গে পার্কসার্কাসের সভায় বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর মুখে চরম আক্ষেপের সুর। তৃণমূল বিজেপি বিরোধী ইন্ডিয়া জোটের অন্যতম শরিক। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেই জোটের অন্যতম শীর্ষ নেত্রী। সেই মমতার মুখেই ভয়ঙ্কার অভিযোগ শোনা গেল ইন্ডিয়া জোটের আরেক শরিকের বিরুদ্ধে! ফলে প্রশ্নের মুখে বিরোধী জোটের ভবিষ্যৎ। তৃণমূল নেত্রী বুঝিয়ে দিলেন, বিজেপি তাঁর মূল শত্রু হলেও পুরনো প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে দৃষ্ঠিভঙ্গি লঘু করতে নারাজ তিনি।সংহতি যাত্রা শেষে সোমবার গেরুয়া শিবিরকে তুলোধনা করেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই প্রসঙ্গেই টেনে আনেন বিরোধী ইন্ডিয়া জোটের কথা। যা বলতেই গিয়েই তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, যাদের সঙ্গে আমরা জীবনের ৩৪ বছর ধরে লড়াই করেছি, তাদের কোনও পরামর্শ আমরা শুনব না। আমাদের অনেক অসম্মান করা হয়। কিন্তু তাও, আমরা বলেছিলাম, যে আঞ্চলিক দল যেখানে শক্তিশালী, সেই জায়গাটা তাঁদের উপর ছেড়ে দেওয়া হোক।সেই সঙ্গেই নাম না করে কংগ্রেসের উদ্দেশে তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন, ৩০০ আসনে আপনারা এককভাবে লড়ুন, আমরা সাহায্য করে দেব। আমরা তোমাদের কোনও আসনে লড়ব না। এরপরই তুলে ধরেন নিজের আক্ষেপের কথা। মমতার কথায়, ইন্ডিয়ার নাম আমরা দিয়েছি। কিন্তু আমাদের এটা বলতে খুব দুঃখ হচ্ছে, আমরা যখন বৈঠকে যাই, দেখি সিপিএম বৈঠককে কন্ট্রোল করে। ওরা বলছে, যা মর্জি করব।ইন্ডিয়া জোটের শরিকদের বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর সতর্কতা, একটা কথা মাথায় রাখুন, বিজেপিকে সাহায্য করবেন না। আল্লা কসম আপনারা ক্ষমা করবেন না, আমিও করব না।নাম না করলে এদিন রাহুল গান্ধীকেও একহাত নিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেন, আমাদের সাহস আছে। আজ তো আমরা মিছিল করলাম। সাহস দেখলাম। এতগুলো রাজনৈতিক দল আছে। কে কী সাহস দেখাল? আমরা তো মন্দির, মসজিদ, গির্জা, গুরুদ্বার সব ধর্মীয় স্থানে গিয়েছি। একটা মন্দির ভিজিট করলেই হয়ে য়ায় নাকি? উল্লেখ্য, ভারতজোড়ে ন্যায় যাত্রার সময় সোমবার অসমের বাতদ্রব থান নামে একটি মন্দিরে যান রাহুল গান্ধী। তবে পুলিশ রাহুলকে আটকে দেয় বলে অভিযোগ। পুলিশের দাবি, ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশ মতো দুপুর ৩টে পর্যন্ত কারোর মন্দিরে প্রবেশের অনুমতি নেই। এরপরই মন্দিরের বাইরে রাহুল সহ কংগ্রেস নেতৃত্ব ধর্নায় বসে পড়েন।

জানুয়ারি ২৩, ২০২৪
রাজনীতি

কংগ্রেস-সিপিএমে হঠাৎ ছন্দপতন, কি বললেন সেলিম? পাল্টা অধীর

রাজ্য থেকে তৃণমূলকে উৎখাতে হাতে মিলিয়েছে কংগ্রেস ও সিপিআইএম। মাঝে মধ্যেই একমঞ্চে দেখা যায় মহঃ সেলিম ও অধীর চৌধুরীকে। আগামী লোকসভাতেও বঙ্গে আসন সমঝোতার ইঙ্গিত দিয়েছে এই দুই বিপরীত আদর্শের দল। বাংলায় ত্রিমুখী লড়াইয়ের আঁচ মধ্য-গগনে। এই অবস্থায় হাত ও কাস্তে-হাতুড়ির সমঝোতায় যেন আচমকা ছন্দপতন! কংগ্রেসকে বড় হুঁশিয়ারি দিয়ে রাখলেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক। জবাবে বুঝে নেওয়ার বার্তা দিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি।এদিন মুর্শিদাবাদের রানিনগরে দলীয় সভায় তৃণমূলকে নিশানা করেন সেলিম। সেই সূত্রেই উঠে আসে ২০১১ সালে রাজ্যে পালা বদলের প্রসঙ্গ, সম্প্রতি ইন্ডিয়া জোটের বৈঠকে গিয়ে রাহুল গান্ধীর সঙ্গে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাক্ষাতের বিষয়টি। সেই সূত্রেই কংগ্রেসকে আক্রমণ করেন মহঃ সেলিম। বলেন, আমরা বলছি চোর ধর, জেল ভরো। আর বড় চোর কংগ্রেসের রাহুল গান্ধীর পায়ে গিয়ে পড়ে বলছে দাদা আমায় বাঁচাও। কংগ্রেসকে বুঝতে হবে যে, ২০১১ সালে ওরা সমর্থন না করলে তৃণমূল ক্ষমতায় আসত না। আর ক্ষমতায় এসেই তৃণমূল ছমাসের মধ্যে কংগ্রেসকে লাথি মেরেছে। কেউ দেখে শেখে, কেই ঠেকে শেখে।অর্থাৎ সেলিমের ইঙ্গিতেই স্পষ্ট যে, বাংলায় বিরোধিতা করলেও কংগ্রেস হাইকমান্ড ইন্ডিয়া জোটের স্বার্থে তৃণমূলে নরম, তা মেনে নিতে পারছে না কাস্তে-হাতুড়ির নেতারা। আর সেটাই স্পষ্ট করে দিচ্ছেন সেলিমরা।জবাব দিয়েছেন অধীর চৌধুরী। আমরা যা বোঝার বুঝেছি। কিন্তু কেউ কারোর সঙ্গে দেখা করতে গেলে তো আমরা তো তাঁকে তাড়াতে পারব না। অর্থাৎ, সেলিমের মন্তব্যকে গুরুত্ব দিতে নারাজ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি।বিজেপির রাজ্য মুখপাত্র শমিক ভট্টাচার্য বলেছেন, এটা ওদের ব্যাপার, কিন্তু, ওরা সকলেই বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করে তৃণমূলকেই বকলমে সমর্থন করছেন।তৃণমূলের রাজ্য। সভার সাংসদ শান্তনু সেন বলেছেন, ওরা এসবই করবে। তৃণমূল নিজের যোগ্যতা ফের প্রমাণ করে দেখাবে। আর কংগ্রেস, সিপিএমের অস্তিত্ব বিপন্ন হবে।

নভেম্বর ১৭, ২০২৩
রাজ্য

জয়নগরের তৃণমূল নেতা খুন, নদিয়া থেকে গ্রেফতার সিপিএম নেতা, পুলিশের জালে আরও ৪

জয়নগরের তৃণমূল নেতা সইফুদ্দিন লস্করকে খুনের অভিযোগে নদিয়া গ্রেফতার করা হল সিপিএম নেতা আনিসুর রহমান লস্করকে। গাড়ি করে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টায় ছিলেন আনিসুর। শেষপর্যন্ত মোবাইল ট্র্যাক করে ঘটনার ৩ দিন পরে অভিযুক্তদের ধরে ফেলে পুলিশ। এছাড়া আরও চারজনকে আটক করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। তবে তাঁদের নাম, পরিচয় এখনও প্রকাশ করা হয়নি।সইফুদ্দিন লস্করকে খুনে সিপিএম নেতা আনিসুর রহমানই মূল চক্রী বলে মনে করছে পুলিশ। নিহত তৃণমূল নেতার পরিবারের পক্ষ থেকে এফআইআর দায়ের করা হয়েছিল, সেখানে নাম ছিল এলাকায় সিপিএম নেতা বলে পরিচিত আনিসুরের।পুলিশ সূত্রে খবর, সইফুদ্দিন খুনের পর থেকেই পলাতক ছিলেন সিপিএম নেতা আনিসুর। বন্ধ ছিল তাঁর মোবাইলও। সইফুদ্দিন খুনে জড়িত সন্দেহে গত মঙ্গলবার ভোরে গণপিটুনিতে প্রাণ যায় সাহাবুদ্দিন নামে এক ব্যক্তির। গ্রেফতার করা হয় শাহরুল শেখ নামে আরেক অভিযুক্তকে। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের পর আটকও করা হয় বেশ কয়েকজনকে। তাদের জেরা করেই সইফুদ্দিন খুনে আনিসুর যোগের কথা জানতে পারে পুলিশ।তদন্তের স্বার্থে পুলিশ দলুয়াখাঁকির আনিসুর রহমান লস্করের খোঁজ শুরু করে। বাড়ি সহ সম্ভাব্য জায়গায় তল্লাশি চালালেও অনুসুরের খো্জ মেলেনি। তার আগেই পালিয়ে যান আনিসুর। ফলে অভিযুক্তের মোবাইল ফোন ট্র্যাক করা শুরু করে পুলিশ। সেই মত নানা জায়গায় হানা দিলেও কোঁজ পাওয়া যায়নি। শেষপর্ষন্ত নদিয়ার রানাঘাটে আনিসুরের মোবাইল ফোনের লোকেশন দেখে সেখানে যায়। ওখান থেকেই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ।তবে আনিসুরকে দলের নেতা বলে মানতে অস্বীকার করেছেন সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী। তিনি বলেন, আনিসুরের সঙ্গে দলের কোনও যোগ নেই। সে আমাদের সমর্থক হতে পারে। আসলে পুলিশ তৃণমূলের নেতা খুনে যে কোনও উপায়ে বিরোধী সিপিএমকে জড়াতে মরিয়া। তাই আততায়ীকে ধরে এখন আমাদের দলের নেতা বলে দেওয়া হচ্ছে। আবার বলা হচ্ছে উনি নাকি কর্মী। আসলে পুরোটাই সাজানো গল্প। তৃণমূলের রাজ্য মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেছেন, আইন আইনের পথে চলবে। সিপিএম যে ধোয়া তুলসী পাতা নয় এই গ্রেফতারি থেকে তা প্রমাণ হয়ে গেল। আসলে এই সন্ত্রাস, খুনের রাজনীতিই সিপিএমের সংস্কৃতি।ভোরবেলা নামাজ পড়তে মসজিদে যাওয়ার সময় বামনগাছি অঞ্চলের তৃণমূল নেতা সইফুদ্দিন লস্করকে গুলি করে খুন করা হয় মঙ্গলবার ভোরে। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, মোটরবাইকে আসা দুষ্কৃতীরা তাঁকে খুন করেছে। এই খুনের খবর জানাজানি হতেই দলুয়াখাঁকি, লস্করপাড়ার একাধিক বাড়িতে পরপর আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে জয়নগরের দলুয়াখাঁকি গ্রাম। গ্রাম ছাড়া হয় বহু পরিবার।

নভেম্বর ১৬, ২০২৩
রাজনীতি

পঞ্চায়েতে অশান্তি: অতর্কিতে চলল গুলি, চোপড়ায় প্রাণ ঝরল সিপিএম প্রার্থীর

পঞ্চায়েত নির্বাচনে মনোনয়ন পত্র জমার শেষ দিনেও অশান্তি চরমে। গুলিতে প্রাণ ঝরল। উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ায় গুলিতে মৃত্যু হয়েছে এক সিপিএম প্রার্থীর। বৃহস্পতিবার মিছিল করে মনোনয়নপত্র জমা দিতে যাচ্ছিলেন বাম ও কংগ্রেসের প্রার্থী ও কর্মীরা। জানা গিয়েছে, বিডিও অফিসে ঢোকার বেশ কিছুটা আগেই মিছিল লক্ষ্য করে গুলি চলে। গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বাম ও কংগ্রেসের বেশ কয়েকজন প্রার্থী ও কর্মী। তাঁদের মধ্যেই এক সিপিএম প্রার্থীর মৃত্যু হয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে। তৃণমূলের বিরুদ্ধে গুলিচালনার অভিযোগ করেছেন বিরোধীরা। এই ঘটনা নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস এখনও কোনও মন্তব্য করেনি।গত কয়েক দিন ধরেই মনোনয়ন জমাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়েছে ভাঙড়, ক্যানিং। বোমার ফুলঝুড়ি দেখেছে রাজ্যবাসী। চোপড়াতেও আশঙ্কা ছিলই। এদিন পঞ্চায়েত ভোটের জন্য মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন। এদিন একসঙ্গে মিছিল করে চোপড়া বিডিও অফিসের দিকে যাচ্ছিলেন বাম ও কংগ্রেসের প্রার্থী এবং কর্মীরা। রাস্তা দিয়ে বেশ কিছুটা যাওয়ার পর বিডিও অফিসের বেশ কিছুটা আগে ঘটে যায় ভয়ঙ্কর কাণ্ড। অতর্কিতে ছুটে আসা গুলিতে মৃত্যু হয় একজনের, বেশ কয়েকজন জখম হয়েছেন। জানা গিয়েছে, বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি চলেছে। রক্তাক্ত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন কয়েকজন। চিৎকার-চেঁচামেচিতে ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। গোটা এলাকায় আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়। ঘটনার সময় কোনও পুলিশ ছিল না। এই পরিস্থিতিতেও মনোনয়ন জমা দিতে বদ্ধপরিকর বাম-কংগ্রেস।

জুন ১৫, ২০২৩
রাজ্য

নির্বাচন এলেই রাম, বাম ও শ্যাম এক, চলে আদানপ্রদাণ থেকে কিছু লেনদেনঃ মমতা

নন্দকুমারে সমবায় নির্বাচনে রাম-বাম জোট তৃণমূলকে পরাস্ত করার প্রতিক্রিয়া দিলেন এবার স্বয়ং তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর আগে বুধবার কৃষ্ণনগরে জনসভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এক যোদে বিজেপি, সিপিএম ও কংগ্রেসের বিরদ্ধে সুর চড়ান। গুরুতর অভিযোগ আনেন তিন দলের বিরুদ্ধেই। একই সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারের বঞ্চনা নিয়েও সরব হয়েছেন তৃণমূলনেত্রী।মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, বিজেপি তুমি বড় বড় কথা বলছ। তার দুই সাগরেদ সিপিএম ও কংগ্রেস। কিচ্ছু করে না। নির্বাচনের সময় রাম, বাম শ্যাম মানে জগাই, মাধাই ও গদাই এক হয়ে যায়। নির্বাচনের সময় দেখবেন তিনটে পার্টি এক হয়ে যায়। কানাঘুষো থেকে নানারকম আদানপ্রদান, রাজনীতির সঙ্গে আরও কিছু লেনদেন চলে। এই সত্যটা প্রকাশ করে দিন।এই সভাতে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের জন্য মোদি সরকারের অর্থিক বঞ্চনার অভিযোগ তোলেন তৃণমূলনেত্রী। তিনি বলেন, ১০০ দিনের কাজ করে গরীব মানুষগুলো। একবছর ধরে টাকা দিচ্ছে না কেন্দ্রীয় সরকার। দেড় কোটি লোক বঞ্চিত ১০০ দিনের কাজে যুক্ত। কেন্দ্রের বঞ্চনা সত্বেও ২৮ লক্ষ জব কার্ড হোল্ডারদের কাজ দিয়েছি। ৯০ দিন হয়ে গিয়েছে। ৫ বছর টানা ১০০দিনের কাজে প্রথম হয়েছি। গ্রামীণ সড়ক যোজনা, আবাস যোজনায়ও প্রথম। তাই এই বঞ্চনা। আমাকে দাবিয়ে রাখা যাবে না।

নভেম্বর ০৯, ২০২২
রাজ্য

পঞ্চায়েতের আগে রাজ্যে বোমা-গুলি উদ্ধার, তোপ বিজেপি-সিপিএমের

পঞ্চায়েত নির্বাচন এগিয়ে আসছে রাজ্যের নানা প্রান্তে অস্ত্র উদ্ধার হচ্ছে। এই অস্ত্র-বোমা-গুলি উদ্ধারের ঘটনায় তোপ দেগেছে বিরোধী দলগুলি। এর আগে উত্তর ২৪ পরগনার শাসনের তৃণমূল নেতা সুকুল আলির বাড়ি থেকে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়েছে, খোদ কলকাতার এপিসি রোড থেকেও অস্ত্র মিলেছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের জন্যই এই বোমা-গুলির কারবার চলছে বলে বিরোধীদের অভিযোগ।বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক অগ্নিমিত্রা পাল বলেন, তৃণমূলের সঙ্গে মানুষ আর নেই। তাদের থেকে মানুষ এখন শতযোজন দূরে। এখন পঞ্চায়েত ভোট জিততে গেলে তৃণমূলের দরকার বোমা ও গুলি। সেই কারবারই চলছে। এখান থেকে সারা ভারতের সন্ত্রাসবাদী কাজ চলছে। এখানকার সরকারের আশীর্বাদ আছে তাদের মাথায়। সিপিএম নেতা প্রাক্তন সাংসদ শমীক লাহিড়ী বলেন, এই রাজ্যটাকে অস্ত্রের কারবার ও সমাজ বিরোধীদের স্বর্গরাজ্য় বানানো হয়েছে। তৃণমূল সাংসদ প্রকাশ্যে বোমা তৈরির ফর্মূলার কথা বলছে। পুলিশ তাঁকে গ্রেফতারও করছে না। এখন সমাজবিরোধীরা সরকার চালাচ্ছে।

নভেম্বর ০৮, ২০২২
রাজ্য

বামেদের লুট করা কলার প্রতিদানে নিজে বাগানের কলা দিয়ে গরীব ব্যবসায়ীর পাশে দাঁড়ালেন তৃণমূল নেতা

বুধবার ৩১ আগস্ট বামেদের আইন অমান্য আন্দোলনের দিন কার্জনগেট এলাকার দোকান থেকে ফল লুটের অভিযোগ করেন স্থানীয় ফল ব্যবসায়ীরা। তাঁরা অভিযোগ করেন বিক্ষোভকারীরা তাঁদের ফলের দোকান থেকে কলা লুট করে চলে যায়। শনিবার কলার কাঁদি দিয়ে ব্যবসায়ীদের পাশে দাঁড়ালো শাসকদল। ৩১ আগষ্ট বামেদের আইন অমান্য কর্মসূচি ছিল বর্ধমানের জেলা শাসকের দপ্তরে সামনে। শহরের স্টেশন থেকে ও বড়নীলপুর মোড় থেকে দুটি মিছিল গিয়ে কার্জনগেট চত্বরে জমায়েত হয়। তারপর শুরু হয় আইন অমান্য কর্মসূচি। সেদিনের কর্মসূচীতে উপস্থিত ছিলেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। পুলিশ প্রশাসন আগে থেকেই সর্তকতা হিসেবে জেলাশাসকের অফিসের আগে তিনস্তর ব্যারিকেড তৈরি করে। বাম কর্মী সমর্থকরা পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ জলকামান ব্যবহার করে। ছোঁড়া হয় কাঁদানে গ্যাসের সেল। পরিস্থিতি কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নেয়। পুলিশ ও বামকর্মী সমর্থকদের মধ্যে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। বেশ কয়েকজন পুলিশ কর্মী জখম হয়। অভিযোগ ভাঙা হয় পুলিশের গাড়ি। বিধায়ক সহায়তা কেন্দ্রেও হামলার অভিযোগ করা হয়। তখন কার্জনগেট চত্বরে ধুন্ধুমার কাণ্ড চলছে। এই এত ঝামেলা অশান্তির মধ্যে দেখা যায় কয়েকজন যুবক কার্জনগেটের ডানপাশে একটি দোকানে ও ফুটপাতের একটি কলা বিক্রেতার কাছ থেকে কলা লুট করছে। পাশাপাশি আরো কয়েকজনকে দেখা যায় দোকাল লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুঁড়তে। দোকানের মালিক অভয় সাহা বলেন, আমি বাধা দেওয়ায় আমার দোকান থেকে বেশী কলা লুট করতে পারে নি। তবে ফুটপাতের ব্যবসা করা ধনেশ্বর সাউ কাঁদানে গ্যাস ছোড়ায় ভয়ে পালিয়ে যায়। সেই সুযোগে কলা লুট করে।শনিবার বর্ধমানের কার্জনগেট চত্বরে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিবাদ সভা হয়। সভা শেষে পূর্ব বর্ধমানের খণ্ডঘোষ ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অপার্থিব ইসলামের নেতৃত্ব ক্ষতিগ্রস্ত দুই ব্যবসায়ীকে তিন কাঁদি কলা দেওয়া হয়। অপার্থিব ইসলাম বলেন, আমাদের নেত্রী শিখিয়েছেন অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে। সিপিএমের কর্মীরা গরিব মানুষের দোকান থেকে কলা লুট করেছিল তিন দিন আগে। আজ আমার কলা বাগানের তিন কাঁদি কলা ওই দোকানগুলিতে দেওয়া হল। ব্যবসায়ী অভয় সাহা বলেন, যেভাবে তৃণমূল আমাদের পাশে দাঁড়ালো তাতে আমরা খুব খুশী। কলা লুটের পর ফুটপাতের অবাঙালি ব্যবসায়ী ধনেশ্বর সাউ খুব দুঃখ পেয়েছিলেন।এদিন তিনি খুব খুশী হন।

সেপ্টেম্বর ০৪, ২০২২
রাজনীতি

রাজ্যের মন্ত্রীদের সামনেই সিপিএমকে ভয়ঙ্কর হুঁশিয়ারি বর্ধমানের তৃণমূল বিধায়কের

বর্ধমানে তৃণমূলের সভা থেকে সিপিএমকে চরম হুঁশিয়ারি দিলেন বিধায়ক খোকন দাস। শনিবার বিকেলে বর্ধমানের কার্জনগেট চত্বরে দ্রব্য মূল্য বৃদ্ধি, ইডি ও সিবিআইয়ের আগ্রাসী মনোভাব ও সিপিএমের সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সভা হয়। সভায় উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ, সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী, প্রদীপ মজুমদার ও শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়।গত ৩১ আগষ্ট বামেদের আইন অমান্য কর্মসূচি ঘিরে ধুন্ধুমার কাণ্ড ঘটে বর্ধমানের কার্জনগেট চত্বরে। সেখানে পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে ঢোকার চেষ্টা করে বামকর্মী সমর্থকরা।এই নিয়ে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি চলে। জলকামান ও কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটিয়ে বাম কর্মী সমর্থকদের সরাতে গেলে পরিস্থিতি রণক্ষেত্রের চেহেরা নেয়। বেশ কয়েকজন পুলিশকর্মী জখম হয়। তারপর দুদিনে বর্ধমানের নীলপুর ও দেওয়ান দীঘি এলাকায় দুটি সিপিএমের দলীয় কার্যালয়ে হামলার অভিযোগ ওঠে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে।এদিনের সভায় বর্ধমান দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক খোকন দাস বলেন, আমাদের নেত্রী শান্তির প্রতীক। কলকাতা থেকে আমাদের নেতা অভিষেক ব্যানার্জী শান্ত থাকতে নির্দেশ দিয়েছেন, কোন গণ্ডগোল ও অশান্তি করতে মানা করেছেন। বাংলা অশান্তি চায় না। তা নাহলে বর্ধমান শহরের সিপিএমের সব পার্টি অফিস গুড়িয়ে দিতে পাঁচ মিনিট সময় লাগতো না। সিপিএম নতুন খেলা শুরু করেছে। সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম রাজ্যের যেখানে যাচ্ছেন সেখানে অশান্তি পাকানোর চেষ্টা করছেন। ৩১ আগষ্ট জেল ভরো আন্দোলনের নামে বর্ধমানে ভাঙচুর করে সিপিএম। গোটা শহরে একটা ইটের টুকরো পাবেন না। কিন্তু সেদিন বস্তা বস্তা ইটের ঢিল ছোড়া হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের প্রকল্পগুলির ছবি কার্জনগেট চত্বরে টাঙানো হয়েছিল পৌরসভার পক্ষ থেকে। কিন্তু সিপিএম উন্নয়ন চায় না। ৩৪ বছরে রাজ্যে কোন উন্নয়ন করে নি।অন্যদিকে মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলেন, হাঁটা শুরু করলে সিপিএমকে খুঁজে পাওয়া যাবে না। সিপিএমের আমলে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ করা হয়েছে বেছে বেছে সিপিএমের লোকেদের।

সেপ্টেম্বর ০৩, ২০২২
রাজ্য

নন্দীগ্রামে সমবায় সমিতির ভোটে বিজেপি ধরাশায়ী, বিপুল জয়লাভ তৃনমূলের

রবিবার ছিল নন্দীগ্রাম ২ ব্লকের বিরুলিয়া গ্রাম-পঞ্চায়েতের হানুভুঁইয়া কৃষি উন্নয়ন সমবায় সমিতির নির্বাচন। মোট ৫২ টি আসনের মধ্যে মনোনয়ন পর্বে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ১টি আসনে জিতেছিলেন তৃণমূল সমর্থিত প্রার্থী। বাকি ৫১টি আসনের ভোটে তৃণমূল সমর্থিত ৫১ জন প্রার্থী ছাড়াও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন বিজেপি সমর্থিত ৪০ জন এবং সিপিএম সমর্থিত ২৯ জন প্রার্থী।নির্বাচনে ২৫০০ সদস্য ভোটারের মধ্যে ৯০ শতাংশ ভোটাধিকার প্র্যোগ করেন। নির্বাচনকে ঘিরে সকাল থেকেই ছিল রীতিমত টানটান উত্তেজনা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে মোতায়েন করা হয়েছিল বিশাল পুলিশ বাহিনী ও র্যাফ। ভোট শেষ হলে গণনায় দেখা যায় ৫০ টি আসনে তৃণমূল সমর্থিত প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন। আর একটি আসনে জয়ী বাম সমর্থিত প্রার্থী।নন্দীগ্রাম ২ ব্লক তৃণমূলের সভাপতি মহাদেব বাগ বলেছেন, বিধানসভা নির্বাচনে বিরুলিয়া অঞ্চলে ১০ হাজারের বেশি ভোটে এগিয়ে ছিল বিজেপি। বিজেপির হাত ধরার অভিজ্ঞতা হয়েছে মানুষের। তাই সমবায়ের উন্নয়নের জন্য তৃণমূলেই আস্থা রেখেছেন এলাকার মানুষজন। তাঁরা স্বতঃস্ফুর্ত ভাবে ভোট দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসকে।বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বিধানসভা কেন্দ্র নন্দীগ্রামে কেন এই ছবি, তার উত্তর খুঁজতে পর্যালোচনা শুরু হয়েছে বিজেপি-র অন্দরেই। যদিও ব্যর্থতা আড়ালে তৃণমূলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলেছেন বিজেপি নেতৃত্ব। তমলুক সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সভাপতি তপন ব্যানার্জির দাবি, চাপা সন্ত্রাসের মুখে ভোট দিয়েছেন মানুষ তাই এই ফল।

আগস্ট ২২, ২০২২
রাজ্য

সিপিএম বিজেপির বি-টিম,' বাংলা নয়, দিল্লি দেখুন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে হুঁশিয়ারি মমতার

এদিন দলের নয়া রাজ্য কমিটির প্রথম বৈঠক হয় তৃণমূল কংগ্রেসের নতুন ভবনে। এদিকে দুদিনের বাংলা সফরে এসেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি জনসভায় নিশানা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। এদিন সাংবাদিক বৈঠকে অমিত শাহকে কড়া জবাব দিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি দলীয় নেতা-কর্মীদের মানুষের পাশে থেকে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন।এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, মনুষ পরিষেবা না পেলে কেন পাচ্ছে না দেখতে হবে। মানুষ মাত্রই ভুল হতে পারে। ভুল করলে খারাপ লাগলে ক্ষমাপ্রার্থী। ভুল হলে ধরিয়ে দেবেন। এদিন অমিত শাহ তাঁর বক্তব্যে টানা আক্রমণ শানিয়েছেন তৃণমূল সরকার ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।কাটমানি, অত্যাচার নিয়ে অভিযোগ করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্টমন্ত্রী। মমতা বলেন, কাটমানির সংজ্ঞা কী? গ্যাস, ডিজেলের দাম বাড়ছে। সেই টাকাটা কোথায় যাচ্ছে? পাশাপাশি এদিন তৃণমূল নেত্রী বলেন, সিপিএম বিজেপির বি টিম। ওরা বিজেপির লিংক।এরাজ্যে অশান্তি নিয়ে অমিত শাহর অভিযোগ প্রসঙ্গে মমতা বলেন, আগে নিজের দিকে তাকান। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দিল্লি দেখুন, বাংলার দিকে তাকাতে হবে না। জাহাঙ্গিরপুরী, উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশের দিকে তাকান। রাজ্যে কী ভাবে অশান্তি লাগে তাতে উৎসাহ দিচ্ছেন। আমাকে গাইড করতে হবে না। দেশকে ভাঙতে চাইছে আর ঘরে বসে সিবিআই, ইডি, আয়কর দফতর ছাড়া কোনও কাজ করেছেন না। সিএএ লাগু নিয়ে মমতার হুঙ্কার, বাংলায় সিএএ চালু হবে না। কাদের ভোটে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী হয়েছেন? তাঁরা কী দেশের নাগরিক নয়? প্রশ্ন তোলেন মমতা

মে ০৫, ২০২২
রাজনীতি

অনুব্রতর আইনজীবীর ইমেইল সিবিআইকে, হাজির হলেই ভয় কেটে যাবে, কটাক্ষ সুকান্তর

বারংবার সিবিআই তলব করলেও এবারও হাজিরা এড়ালেন তৃণমূল নেতা অনুব্রত মন্ডল। জানা গিয়েছে, বিকেলের দিকে ইমেইল করে অনুব্রত মন্ডলের আইনজীবী সিবিআইকে জানিয়েছেন, তাঁর মক্কেল হাঁটতে পারছেন না। তাঁকে চিকিৎসকরা ৪ সপ্তাহ সম্পূর্ণ বিশ্রামে থাকতে বলেছেন। তাই আপাতত তিনি সিবিআই দফতরে হাজির হতে পারছেন না। এদিকে অনুব্রত সিবিআইতে হাজিরা না দেওয়ায় কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি ও সিপিএম। এদিন জোড়া নোটিশ দিয়েছে সিবিআই। একদিকে গরুপাচার কাণ্ডে বিকেলের মধ্যে হাজিরা দিতে বলেছিল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। আর একটি নোটিশে সিবিআই বলেছে ভোটপরবর্তী হিংসার মামলায় আগামিকাল রবিবার সকাল ১১টার মধ্যে তাদের দফতরে হাজির হতে। নোটিশ দিতে চিনারপার্কে অনুব্রত মন্ডলের ফ্লাটে যান সিবিআই। এদিকে অনুব্রতর সিবিআই দফতরে হাজির না হওয়ায় কটাক্ষ করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন,ওনার সিবিআই দফতরে যাওয়া উচিত। কিন্তু উনি বিভিন্ন অজুহাতে উডবার্নে ভর্তি হচ্ছেন। তবে ওনার রোগ নিয়ে লোকে যা বলছে তাতে মনে হয় ওনারও সম্মানে লাগে। এত আছিলা না করে ওনার সিবিআই-এর সম্মুখীন হওয়া দরকার। উনি কত পেয়েছেন, অন্যরা কত পেয়েছে সব বলে দেওয়াই উচিত। একবার গেলেই তো হল। একবার গেলে ওনার ভয় কেটে যাবে, তখন বারাবার যেতে ইচ্ছে করবে। সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম বলেন, কংগ্রেসের বরিষ্ঠ নেতা পি চিদাম্বরমকে ধরতে পাঁচিল টপকে ঢুকেছিল সিবিআই। এখন চিনারপার্কে যেতে পারছে না সিবিআই। এসবই নাটক।এনিয়ে গরুপাচার কাণ্ডে ৬ বার সিবিআইয়ের তলবে হাজির হলেন না অনুব্রত মন্ডল। সঙ্গে যোগ হয়েছে ভোট পরবর্তী হিংসার মামলা। তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য জানিয়ে দিয়েছেন, রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গী থেকে সিবিআই তলব করছে। গতকালই হাসপাতাল থেকে ছেড়েছে অনুব্রত মন্ডলকে। তিনি কলকাতায় চিনারপার্কের ফ্লাটেই তো আছেন।

এপ্রিল ২৩, ২০২২
রাজ্য

শালবনিতে আক্রান্ত সিপিএম প্রার্থী সুশান্ত ঘোষ

শালবনিতে আক্রান্ত সিপিএম প্রার্থী সুশান্ত ঘোষ। অভিযোগ, ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয় তাঁর গাড়িতে। খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে আক্রান্ত হন সংবাদমাধ্যমের কর্মীরাও। ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টায় পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনী। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই একজনকে আটক করেছে পুলিশ। ভোটের সকাল থেকেই শালবনির বিভিন্ন ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে যান সুশান্ত ঘোষ। একাধিক বুথে ঢুকে সেখানকার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন। বারবার অভিযোগ করেছেন তাঁদের পোলিং এজেন্টকে বসতে দেওয়া হচ্ছে না। এই নিয়ে তৃণমূল কর্মীদের সঙ্গে বচসায় জড়ান শালবনির সিপিএম প্রার্থী। অভিযোগ, এরপরই পূর্বপাড়া এলাকায় আক্রান্ত হন সুশান্ত ঘোষ। তাঁর গাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয়। বৃষ্টির মতো তাঁর দিকে উড়ে আসে ইট। ছোঁড়া হয় জুতোও। ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্বাভাবিকভাবেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনী পরিস্থিতি আয়ত্তে আনার চেষ্টা করলেও এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চরম উত্তেজনা ছড়িয়েছে শালবনিতে।

মার্চ ২৭, ২০২১
কলকাতা

বামেদের ব্রিগেডে হাজির থাকতে পারেন ভাইজান

চলতি মাসের ২৮-এ বামেদের ব্রিগেড সমাবেশের আগেই ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রণ্টের সঙ্গে আসন সমঝোতা হয়ে যেতে পারে। সেই সম্ভাবনার কথা জানিয়ে দিলেন আইএসএফের কান্ডারী পিরজাদা আব্বাস সিদ্দিকি ওরফে ভাইজান। মঙ্গলবার ধর্মতলার ওয়াই চ্যানেলে দলীয় সভায় ভাইজান বলেন, আমার আশা ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে আসন সমঝোতা সম্পূর্ণ হয়ে যাবে। সেক্ষেত্রে ব্রিগেড সমাবেশে ভিড় উপচে পড়বে বলেও তিনি জানিয়ে দেন।আটচল্লিশ ঘণ্টার নোটিসে মঙ্গলবার ধর্মতলায় সভা ডেকেছিল ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রণ্ট। আব্বাস সিদ্দিকি শিয়ালদা থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত একটি মিছিলের নেতৃত্ব দেন। অপর মিছিলটি আসে হাওড়া স্টেশন থেকে। ছোট জায়গায় সভার অনুমতি মেলায় উষ্মাপ্রকাশ করেছেন ভাইজান। তাঁর খেদোক্তি, ভোট নেওয়ার সময় আমরা। এদিকে একটা বড় জায়গা পাওয়া যায় না সভা করার জন্য। একটা দুর্গন্ধযুক্ত জায়গায় সভা করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।এদিনের সভায় ভাইজান জানিয়ে দিয়েছেন টাকা রোজগারের জন্য তিনি রাজনীতি করতে আসেননি। তাছাড়া কলকাতায় সম্পত্তি করতেও তিনি রাজনীতি করছেন না। কটাক্ষ করে তিনি বলেছেন, ভাইপোকে প্রতিষ্ঠা করতেও রাজনীতিতে আসিনি।কেন্দ্রীয় কৃষি বিল, পেট্রল-ডিজেল ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধি, কেন্দ্রীয় সরকারের জনবিরোধী নীতির প্রতিবাদে এদিন সভা করে আইএসএফ। ওয়াই চ্যানেলের সভা থেকে কেন্দ্র ও রাজ্য দুই সরকারকেই তোপ দেগেছেন আব্বাস সিদ্দিকি। ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রণ্টের সঙ্গে বিধানসভা নির্বাচনে আসন সমঝোতা করা নিয়ে আলাপ-আলোচনা চলছে বাম-কংগ্রেসের। সেই জোট হলে বাংলার ভোট ত্রিমুখী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে এই আসন সমঝোতা এখনও স্পষ্ট নয়।

ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০২১
রাজ্য

"পশ্চিমবঙ্গে বিজেপিকে সরকার গড়তে দেবেন না", আবেদন ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর

প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় কেন্দ্রীয় সরকার কৃষক বিরোধী বিল পাশ করে আসলে বড় পুঁজিপতিদের হাত শক্ত করছে। এর ফলে প্রকৃত কৃষকরা বঞ্চিত হবে আর কর্পোরেট সংস্থাগুলি সুবিধা পাবে বলে মঙ্গলবার দাবি করেন ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মাণিক সরকার। এদিন বিকেলে বর্ধমান টাউনহলে সিপিআইএমের জনসভায় বক্তব্যে কেন্দ্র ও ত্রিপুরার বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে মাণিক সরকার তীব্র আক্রমণ শানান । একই সঙ্গে তিনি আবেদন করেন, পশ্চিমবঙ্গে বিজেপিকে সরকার গড়তে দেবেন না । তাহলে বড় সর্বনাশ হয়ে যাবে । বর্ধমানে জনসভার মঞ্চ থেকে মাণিক সরকার আরও বলেন, বিজেপি ডিভাইড এ্যন্ড রুল অর্থাৎ ধর্মের মাধ্যমে আন্দোলনকে ভাগ করতে চাইছে। সেই কারণে গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে ভেঙে দেওয়া হচ্ছে। মাণিকবাবুর দাবি, লকডাউনে মানুষকে বিপদে ফেলেছিল বিজেপি সরকার। গোটা দেশে ৪৯ থেকে ৫২ কোটি পরিযায়ী শ্রমিক আছে। লকডাউনে কোটি কোটি মানুষ অসহায় হয়ে পড়েন। শত শত মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। বিভিন্ন জায়গায় আটকে পড়া মানুষজন লকডাউনের সময় হেঁটে হেঁটে বাড়ি ফিরেছেন। তবুও বিজেপি সরকার তাদের কথা ভাবেনি। পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য কোন চিন্তাও করেনি। কেন্দ্রের নয়া কৃষি আইন প্রসঙ্গে মাণিক সরকার বলেন, পুঁজিপতিদের হাত শক্ত করতে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার কৃষক বিরোধী বিল পাশ করেছে। এরফলে প্রকৃত কৃষকরা বঞ্চিত হবে আর লাভবান হবে, সুবিধা পাবে কর্পোরেট সংস্থাগুলি। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জানান ,কৃষি আইন বাতিলের জন্য মাসের পর মাস সারা ভারত কৃষকসভা আন্দোলন করছে। এছাড়াও কৃষক, শ্রমিক, ছাত্র সবাই এখন বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে । বিজেপি সরকারের কঠোর সমালোচনা করে ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী আরো বলেন, বিজেপি সরকার সাধারণ মানুষের অধিকার কেড়ে নিচ্ছে। ধর্মের নামে কেউ যাতে ভারতবর্ষকে ভাগ করতে না পারে তার জন্য ভারতে সংবিধান তৈরি করা হয়েছিল। কিন্তু সেই সংবিধানকেও এখন আক্রমণ করা হচ্ছে। মাণিক বাবুর দাবি, আরএসএস পরিচালিত বিজেপি সরকার গোটা দেশকে হিন্দুরাষ্ট্র করতে চাইছে। সংবিধানে নাগরিকের অধিকারের কথা উল্লেখ করা আছে। আর বিজেপি সরকার হিন্দুত্বের ভাবনা তৈরি করেছে। নতুন নাগরিক আইনে করে সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করা হল।এইসব করে দেশের স্বাধীনতা আন্দোলনে তাদের অবদানকেই কার্যত অস্বীকার করা হচ্ছে। এদিন বর্ধমানের সভা মঞ্চ থেকে নির্বাচন কমিশনকেও একহাত নেন মানিক সরকার। তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করছে না। সেই কারণে মানুষ ভোট দিতেও পারছে না। তাদের ঘরছাড়া হতে হয়। কেন্দ্রীয় ও রাজ্য নির্বাচন কমিশন কেউই সঠিক ভূমিকা পালন করছে না বলে মাণিক বাবু মন্তব্য করেন। মাণিক বাবু জনসভা মঞ্চ থেকে আবেদন রাখেন, পশ্চিমবঙ্গে বিজেপিকে সরকার তৈরি করতে দেবেন না। তাহলে বড় সর্বনাশ হয়ে যাবে বলে তিনি জানিয়েদেন।

ফেব্রুয়ারি ০৩, ২০২১
রাজনীতি

বাংলার রাজনীতিতে নতুন দল ঘোষণা ভাইজানের, বেগ পেতে পারে তৃণমূল

পূর্বঘোষণা অনুযায়ী ফুরফুরা শরীফের পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকি নতুন রাজনৈতিক দল ঘোষণা করলেন। ধর্মনিরপেক্ষতার পথে হাঁটতে নাম রেখেছেন ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট। এই ফ্রন্টের চেয়ারম্যান হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে আব্বাস সিদ্দিকির ভাই পীরজাদা নওসাদ সিদ্দিকির নাম। সভাপতি হয়েছেন শিমল সোরেন। বৃহস্পতিবার কলকাতা প্রেস ক্লাবে এই নতুন দলের এই দুজন কর্মকর্তার নাম ঘোষণা করা হয়েছে। বাকিদের নাম পড়ে ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন আব্বাস সিদ্দিকি ওরফে ভাইজান।এর আগে আব্বাস সিদ্দিকি জানিয়েছিলেন, মুসলিম, দলিত ও পিছিয়েপড়াদের নিয়ে তিনি রাজনৈতিক দল গঠন করতে চলেছেন। সেই নতুন দল গঠন করার জন্য তিনি বিভিন্ন সভায় মানুষের কাছে তাঁদের মতামত জানতে চেয়েছেন। ইতিমধ্যে তাঁর সঙ্গে দেখা করে গিয়েছেন মিমের প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়েসি। যদিও আব্বাস তাঁকে জানিয়ে দিয়েছিলেন তিনি নিজেই দল গড়তে চালেছেন। সেই দলের সঙ্গে জোটে আসতে পারেন কিন্তু তিনি এখানে মিমের প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করবেন না। দক্ষিণ ২৪ পরগনায় তাঁর ওপর হামলা চালানো হয়েছিল বলেও অভিযোগ করেছিলেন আব্বাস সিদ্দিকি। সম্প্রতি মিনাখাঁয় একটি অনুষ্ঠানের আগে তাঁর অনুগামীদের উপর হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ। এবং তাঁদের বাড়িঘর পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। এসব অত্যাচার বন্ধ করতে চান আব্বাস। এদিন আব্বাস সিদ্দিকি জানিয়ে দেন, তিনি কিংমেকার হতে চান। কিন্তু তিনি নিজে ভোটে লড়বেন না। আগামী ২৬ জানুয়ারি প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট তাঁদের রাজনৈতিক কর্মসূচি শুরু করবে। এছাড়া ব্রিগেডের জনসভা করার পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন ভাইজান। সেই জনসভা থেকেই জেলা নেতৃত্বের দায়িত্ব ঘোষণা করা হবে বলেও তিনি জানান। তাঁর এই নতুন দল বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসকে বেগ দিতে পারে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। নওসাদ সিদ্দিকি বলেন, আমরা চাই পাঠ্যসূচিতে সংবিধানকে রাখা হোক। এই দাবিতে আমরা কলকাতার পথে নামব। কৃষি বিলের প্রতিবাদ হবে। আব্বাসের বক্তব্য, বিজেপি দেশের পক্ষে ক্ষতিকারক। তবে সাম্প্রদায়িকতার প্রশ্নে তিনি সরাসরি কোনও জবাব দেননি। এর আগে আব্বাস উদ্দিনের সংগঠন নিয়ে সিপিএমের একাংশ উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন। কংগ্রেসও নেতৃত্ব এখনও সেভাবে এই দল সম্পর্কে বিরূপ মন্তব্য করেনি। দেখার বিষয় বাংলার রাজনীতিতে নতুন কোনও জোট হয় কিনা। বিজেপি নেতৃত্বের একাংশ আব্বাসের এই দল নিয়ে উচ্ছ্বাসিত। এর ফলে তৃণমূলের রাজরাজনৈতিক ক্ষতি হবে বলে তাঁদের ধারণা। যদিও এ ব্যাপারে কোনও মন্তব্য করতে চাননি আব্বাস। তাঁর বক্তব্য, বিজেপির বিরুদ্ধে লড়তে হলে সবাই একজোট লড়তে হবে। তাঁরা ২৯৪টি আসনেই প্রার্থী দিতে পারেন বলে জানিয়েছেন।

জানুয়ারি ২১, ২০২১
রাজ্য

এবার গেরুয়া শিবিরের পথে হলদিয়ার সিপিএম বিধায়ক

দলের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে দলত্যাগের ইঙ্গিত দিলেন হলদিয়ার সিপিএম বিধায়ক তাপসী মণ্ডল। জানালেন, কাজ করতে পারছেন না। ইঙ্গিতে বোঝালেন বিজেপি শিবিরে যোগদানের ইচ্ছেও। তিনি বলেন, মানুষের হয়ে কাজ করতে চান, কিন্তু তা করতে পারছেন না। আরও পড়ুন ঃ বোলপুরে বিজেপির পোস্টার, অমিত শাহের ছবির নীচে স্থান পেলেন রবি ঠাকুর! এতে স্বাভাবিকভাবেই জল্পনা শুরু হয়েছে তাঁর দলত্যাগ নিয়ে। এই পরিস্থিতিতে তাঁর স্বামীর বিজেপি যোগ প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে স্পষ্টভাবে তিনি জানান, একইবাড়ির দুজন মানুষ আলাদা রাজনৈতিক মতাদর্শ নিয়ে চললে সাধারণ মানুষের কাছে ভুল বার্তা যায়। তাই তাপসীদেবী মনে করেন, স্বামীর সঙ্গে একসঙ্গে চলাই তাঁর উচিত। এতেই কার্যত স্পষ্ট যে, দল ছাড়তে চলেছেন তিনিও। বিধায়কের মনোভাব প্রকাশ্যে আসতেই তাঁকে বহিষ্কার করেছে দল।

ডিসেম্বর ১৮, ২০২০
  • ‹
  • 1
  • 2
  • ›

ট্রেন্ডিং

রাজ্য

নৌকো ডুবিতে প্রাণ বাঁচল ১৩ জনের, নিখোঁজের তল্লাশিতে ডুবুরি

মুর্শিদাবাদের ধুলিয়ান ফেরিঘাটে মধ্যরাতে নৌকায় পারাপারে ঘটলো বড়সড় বিপত্তি। ১৩ জন প্রাণে বাঁচলেও নিখোঁজ এক শ্রমীক। স্থানীয় সুত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে ১২ জন শ্রমীক ধুলিয়ান কলাবাগান সংলগ্ন ফেরিঘাট আসে মালদা যাওয়ার জন্য। ঘাটের নৌক রাত ৯ টার পর বন্ধ থাকায় দুই জন মৎস্যজীবীকে বলে নদী পারাপার করারা জন্য।জানা গিয়েছে, দুই মৎস্যজীবী রাজি হয়ে যায় ৮০০ টাকার বিনিময়ে। কিন্তু তাঁদের নিজের নৌক না থাকায়, রঞ্জন মন্ডলকে না জানিয়ে তাঁর নৌকা নিয়ে তাঁদের পারাপার করতে যায়। প্রশাসনের নিয়মকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে নৌকা ঘাট বন্ধ থাকায় ছোট নৌকা করে প্রায় ১২ জন শ্রমীক নিয়ে ধুলিয়ান কলাবাগান সংলগ্ন ফেরিঘাট থেকে পারলালপুর ঘাটের উদ্দেশ্যে যাওয়ার সময় হঠাৎ নৌকা উল্টে যায়। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটি আসে সামশেরগঞ্জ থানার পুলিশ, বিএসএফ ও স্থানীয় মাঝিরা। রাতে জীবিত ১৩ জনকে উদ্ধার করা গেলেও নিখোঁজ হয়ে যায় এক ব্যাক্তি। নিখোঁজ ব্যক্তির পরিবার সুত্রে জানা যায়, নিখোঁজ ব্যক্তির নাম জাহাঙ্গীর শেখ। বয়স ৩৫ বছর। বাবার নাম লিয়াকত আলি। বাড়ি মালদা জেলার বৈষ্ণবনগর থানার বাখরাবাদ গ্রাম। সকাল থেকে নিখোঁজ শ্রমিকের পরিবার ও পুলিশ প্রশাসনের উদ্যোগ ডুবুরি টিম গঙ্গায় তল্লাশি চালাতে থাকে।পুলিশ সুত্রে জানা যায়, দুই জন মৎসজীবীকে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল রাতে ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় সামশেরগঞ্জ থানার পুলিশ ও বৈষ্ণবনগর থানার পুলিশ। সকালে ডুবরির টিম তল্লাশি করছে। ইতিমধ্যে ডুবে যাওয়া নৌকা টিকে উদ্ধার করেছে সামশেরগঞ্জ থানার পুলিশ । পুরো বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে পুলিশ।

জুন ২১, ২০২৫
রাজ্য

বারাসতে ভয়াবহ আগুন, মুহূর্মুহু বিস্ফোরণের শব্দ, ঘটনাস্থলে দমকলের ২০টি ইঞ্জিন

ভয়াবহ অগ্নিকান্ড বারাসাত। বিধ্বংসী আগুনে জ্বলছে বামনমুড়ায় প্যাম্পার্স ফ্যাক্টরি। আগুনের ফলে বন্ধ করা হয়েছে বারাসাত টাকি রোডের যান চলাচলও। প্রথমে স্থানীয় আগুন নেভানোর কাজ শুরু করেও ব্যর্থ। দমকলের ২০টি ইঞ্জিন আগুন নেভানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।শনিবার সন্ধ্যায় হঠাৎই আগুনের লেলিহান শিখা দেখা যায় বারাসাতের বামুনমুড়া এলাকায়। অগুন নজরে আসতেই প্রথমে স্থানীয়রা আগুন নেভানোর কাজ শুরু করেন। ২০টি দমকল ইঞ্জিন পৌঁছালেও এখনও পর্যন্ত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি। গলগল করে ধোঁয়া বের হতে থাকে। আগুন লাগার কারণ এখনও জানা যায়নি। ব্যাপক ক্ষয়খতির আশঙ্কা করা হচ্ছে।

জুন ২১, ২০২৫
রাজ্য

শৌচাগারের ট্যাঙ্কি বানাতে গিয়ে ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা, মৃত দুই

নির্মীয়মান বাড়ির শৌচাগারের ট্যাঙ্কি ভেঙে মৃত্যু হল দুই ভাইয়ের। এই ঘটনায় জখম হয়েছে আরও একজন শ্রমিক । তাঁর চিকিৎসা চলছে মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। শনিবার সন্ধ্যা ছটা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে ইংরেজবাজার শহরের সুকান্তপল্লি এলাকায়। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত দুই ভাইয়ের নাম উজ্জল মন্ডল (২৮) এবং অসিত মন্ডল (২৫)। তাঁদের বাড়ি ইংরেজবাজার থানার বাগবাড়ি বাগরড এলাকায়। আহত হয়েছেন অমল মন্ডল(২৫)। তার বাড়ি রতুয়ার করমনি এলাকায়। এদিন তিনজন সুকান্তপল্লি এলাকার একটি নির্মীয়মান বাড়ির শৌচাগারের ট্যাঙ্কির ভেতরে সাটারিং খুলছিল। সেই সময় হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে সাটারিংয়ের কাঠ এবং কংক্রিটের চাঙর । এই দুর্ঘটনার সময় তিনজন জখম হলে তাদেরকে মালদা মেডিকেল কলেজে স্থানীয়রা উদ্ধার করে নিয়ে আসে। মেডিকেল কলেজের কর্তব্যরত চিকিৎসাকেরা দুইজন শ্রমিককে মৃত বলে জানিয়ে দেয়। পুরো বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, বাড়ির মালিকের নাম প্রসেনজিৎ বর্মন। পেশায় তিনি স্কুল শিক্ষক। সেখানেই তিনি একটি নতুন বাড়ি তৈরি করছিলেন। পুলিশ বাড়ির মালিককে জিজ্ঞাসাবাদ করছে।শৌচাগারের ট্যাঙ্কি বানাতে গিয়ে ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা, মৃত দুই

জুন ২১, ২০২৫
রাজ্য

জলমগ্ন একাধিক গ্রাম, জল ছাড়ছে ডিভিসি, দুর্গাপুর ব্য়ারেজ পরিদর্শন সেচমন্ত্রীর

দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে মঙ্গলবার থেকে ভারি বৃষ্টিপাত চলছে। পাঞ্চেত, মাইথন থেকে জল ছাড়ার পরে দুর্গাপুর ব্যারাজ থেকেও যথারীতি জল ছাড়া শুরু হয়েছে। আজ, শুক্রবার ৪৬ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে বলে সেচমন্ত্রী মানস ভুঁইয়া জানিয়েছেন। সেচমন্ত্রী মানস ভুইয়া দুর্গাপুর ব্যারাজের সংস্কারের কাজের পর চালু ব্যারাজ রাস্তা পরিদর্শনে আসেন। সেচমন্ত্রী বলেন, ৪৫ দিনের মধ্যেই কাজ শেষ করা হয়েছে। বর্ষা এসে গিয়েছে। ফলে বাকি যেসব কাজ রয়েছে তা বর্ষার পরেই শুরু হবে।দুর্গাপুর ব্যারাজের পরিদর্শনের সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সেচমন্ত্রী বাংলার প্রতি কেন্দ্রীয় সরকারের ইচ্ছাকৃত বঞ্চনার কথা তুলে ধরেন। সেচমন্ত্রী বারবার বলেন, কেন্দ্রীয় সরকারের যে দায়িত্ব রয়েছে তা পালন করছে না এবং রাজ্যের হকের টাকা কেন্দ্র দিচ্ছে না। তাই ড্রেজিং করা সম্ভব হচ্ছে না। রাজ্য ও ডিভিসির মধ্যে বারবার জল ছাড়া নিয়ে যে বিতর্ক দেখা দেয় তা নিয়ে কোন মন্তব্য না করে সেচমন্ত্রী বলেন, এই মুহুর্তে এই বিতর্কে যাব না। ৪৫ দিনের মধ্যেই কাজ শেষ করা হয়েছে। মাঝে ছয় দিন প্রচন্ড বৃষ্টি হয়েছিল বলে কাজে কিছু অসুবিধা দেখা দিয়েছিল। তবু কাজ ৪৫ দিনের মধ্যেই শেষ করা গিয়েছে। হায়দ্রাবাদ থেকে রাবার সিল আসছে তা দিয়ে কাজ করা হবে।সেচমন্ত্রী বলেন, দেড় মাস দুর্গাপুর ব্যারাজে জল ধরে রাখা হয়। এরপরে দুর্গাপুর, মাইথন ও পাঞ্চেত নিয়ে একটি সেল গঠন করা হয়েছে এবং মনিটরিং করা হচ্ছে জল ছাড়া নিয়ে যেন মানুষের ক্ষতি না হয়। সেচমন্ত্রী বলেন, প্রচন্ড বৃষ্টি হচ্ছে এবং বিভিন্ন জেলা এবং ঝাড়খণ্ডের জল নামছে ফলে সমস্ত বিষয়ের উপরে নজর রাখা হয়েছে।তেনুঘাট নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে সেচমন্ত্রী বলেন, মুখ্যমন্ত্রী, সেচ দপ্তরের কর্তারা এবং আমি নিজে বারবার কথা বলেছি। তেনুঘাটকে নিয়ন্ত্রণে রেখে অপারেট করা যায়।সেচমন্ত্রী একাধিকবার বলেন, মুখ্যমন্ত্রী এবং সেচ দপ্তর মাইথন, পাঞ্চেত এবং দুর্গাপুর ব্যারাজের জল ছাড়া নিয়ে নজর রেখেছেন । আজ ৪১ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে। বন্যার যন্ত্রণা যাতে পেতে না হয় তার প্রতি সজাগ রয়েছেন প্রশাসনিক কর্তারা এবং আজ বাঁকুড়ায় আসছেন পরিস্থিতি নিয়ে আলচনা করতে। রাস্তার বিষয় নিয়ে তিনি বলেন, পি ডাব্লু ডিকে নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বৃষ্টি কমলেই।সেচমন্ত্রী ব্যারাজগুলির গভীরতা কমে যাওয়ার জন্য কার্যত কেন্দ্রীয় সরকারের টাকা না দেওয়ার কথা তুলে ধরেন। সেচমন্ত্রী বলেন, ১২ বছর ধরে কেন্দ্রের জলসম্পদ দপ্তর, প্রধানমন্ত্রীকে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার দেখছি দেখছি করে পার করে দিচ্ছে কিন্তু রাজ্যের হকের টাকা দিচ্ছে না। সেচমন্ত্রী বিজেপি সরকারের বাংলাকে বঞ্চনা করার কথা তুলে ধরেন। বন্যার প্রসঙ্গে সেচমন্ত্রী বলেন, আমরা প্রার্থনা করছি যেন বন্যার মুখে পড়তে না হয় কিন্তু দেড় মাস জল ধরে রাখা হয় আর তারপরে রয়েছে প্রচন্ড বৃষ্টি, ফলে জলের চাপ বাড়ছে, সেদিকেই নজর রাখতে হচ্ছে।দুর্গাপুর ব্যারাজের এক নম্বর গেটে বেশ কিছু সমস্যা দেখা দিয়েছে । সাংবাদিকেরা এ নিয়ে সেচমন্ত্রীকে প্রশ্ন করলে সেচমন্ত্রী বলেন, সব দিক নজরে রাখা হয়েছে, সংস্কার হবে। তিনি এরপরে আবার বলেন, কেন্দ্রিয় সরকারের কাছ হতে এক কানা কড়ির সাহায্য পাইনি। মুখ্যমন্ত্রী নিজের রাজ্যের কোষাগার থেকেই খরচ করে কাজ করছেন। তিনি এরপরেই পরিসংখ্যান তুলে ধরেন কিভাবে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সীমিত আর্থিক ক্ষমতায় এবং কেন্দ্রীয় সরকারের বঞ্চনার পরেও কাজ করে চলেছেন। সেচমন্ত্রী জোড়ের সাথে বলেন, একটা নয়া পয়সা কেন্দ্রের সরকার দেয় নি। তবু একের পর এক কাজ হচ্ছে এবং এটাও করা হবে।

জুন ২০, ২০২৫
রাজ্য

সাতসকালে ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনা পুরুলিয়ায়, মৃত্যু মিছিল

সাতসকালে ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল ৯ জনের ৷ পুরুলিয়ায় ১৮ নম্বর জাতীয় সড়কের নামশোল এলাকায় আজ, শুক্রবার ঘটনাটি ঘটেছে ৷ পুলিশ সূত্রে খবর, ট্রাকের সঙ্গে মুখোমুখি বোলেরোর সংঘর্ষে ঘটে। তার ফলেই জেরেই ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা ৷ গাড়িতে থাকা ৯ জনেরই প্রাণ গিয়েছে ৷ এরা সকলেই ঝাড়খন্ডের বাসিন্দা। বিয়ে বাড়ি থেকে ফিরছিলেন বলে জানা গিয়েছে।জানা গিয়েছে, আজ শুক্রবার সকালে পুরুলিয়ার দিক থেকে চারচাকা বোলেরো গাড়িটি বলরামপুরের অভিমুখে যাচ্ছিল। সেই সময় গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টো দিক থেকে আসা একটি ট্রাককে সরাসরি ধাক্কা মারে। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বলরামপুর থানার পুলিশ। প্রথমে জখম সকলকে উদ্ধার করে স্থানীয় বাঁশগড় ব্লক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যায় পুলিশ। কর্তব্যরত চিকিৎসকরা আহতদের সকলকেই ঘোষণা করেন।

জুন ২০, ২০২৫
রাজ্য

দামোদরে বালি তুলতে গিয়ে বিরাট বিপত্তি, জলে ভাসছে ১৫টি লরি

দামোদরে বালি তোলায় কোনও লাগাম নেই। ডিভিসি থেকে জল ছাড়ার খবর থাকা সত্বেও বালি তোলার কাজ চলছিল। লরি নেমেছিল একেবারে নদের ভিতরে। জল ভরে টুইটুম্বুর হওয়ায় ভেসে গেল ১৫টি বালি বোঝাই লরি। পূর্ব বর্ধমানের গলসির গোহগ্রামের এই ঘটনায় বেশ চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পরে। পরে লরিগুলিকে উদ্ধারের তৎপরতা শুরু হয়।দুর্গাপুর ব্যারাজ থেকে জল ছাড়ার কথা ডিভিসি ও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আগাম ঘোষণা করা হয়েছিল। মাইথন ও পাঞ্চেত থেকে বুধবার জল ছাড়া হয় ৪০ হাজার কিউসেক। এরই মধ্যে নিম্ন দামোদর অববাহিকায় দুদিন ধরে টানা বৃষ্টি চলেছে। এই সব কারণে বৃহস্পতিবার সকালে হঠাৎ দামোদর নদে জলের পরিমাণ বেশ বেড়ে যায়। এতেই ঘটে যায় বিপত্তি।স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ১৫টি বালি বোঝাই লরি দামোদর নদের জলে ভাসতে থাকে। তার উপর বৃহস্পতিবার বেলা বাড়তে নদের জল আরও হু হু করে বাড়তে শুরু হয়। বিপদ বুঝে লরিগুলি নদী থেকে তোলার জন্য তৎপরতা শুরু করে চালকরা । ওই সময়েই সামনে থাকা দুটি লরি বিকল হয়ে যাওয়ায় লরি গুলি নদ থেকে পাড়ে তোলা আর সম্ভব হয়নি। জেসিবি মেশিন ব্যবহার করেও কাজ হয়নি। জল কমা পর্যন্ত লরিগুলো তুলতে অপেক্ষা করতে হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

জুন ১৯, ২০২৫
রাজ্য

"কেশরী: চ্যাপ্টার ২" তে ক্ষুদিরাম বসু সহ বাঙালি স্বাধীনতা সংগ্রামীদের অপমান, প্রতিবাদে গর্জে উঠল বাংলা পক্ষ

সম্প্রতি কেশরী: চ্যাপ্টার ২ নামের এক বলিউডি হিন্দি সিনেমায় ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের সশস্ত্র সংগ্রামের উজ্জ্বল ইতিহাস তথা বীর বাঙালি স্বাধীনতা সংগ্রামীদের পরিচয় ও ভূমিকা বিকৃত করে এক মনগড়া মিথ্যা ইতিহাস তুলে ধরার অভিযোগ উঠেছে। সিনেমাটিতে দেখানো হয়েছে যে ক্ষুদিরাম সিং ও বারীন্দ্র কুমার নামক দুই বিপ্লবী বৃটিশ পুলিশকর্তা কিংসফোর্ডকে বোমা মেরে হত্যার চেষ্টা করে ও তাদের বোমা তৈরীর প্রশিক্ষণ দেয় কৃপাণ সিং! যার সাথে বাস্তবের কোন মিল নেই। প্রকৃত পক্ষে ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে বাঙালি বিপ্লবীদের সশস্ত্র সংগ্রামের ইতিহাসের এক যুগান্তকারী ঘটনা কিংসফোর্ড হত্যার প্রচেষ্টা ও পরবর্তীতে মানিকতলা বোমা মামলার ঘটনার কথা সম্পূর্ণ বিকৃত ভাবে এই সিনেমাটিতে দেখানো হয়েছে।সশস্ত্র সংগ্রামের লক্ষ্যে কলকাতার মানিকতলার যুগান্তর গুপ্ত সমিতিতেই অরবিন্দ ঘোষের নেতৃত্বে বোমা তৈরীর কর্মশালা গড়ে ওঠে, ইউরোপ থেকে বোমা তৈরী শিখে এসে এখানে বোমা তৈরী করে বিপ্লবীদের সরবরাহ করতেন হেমচন্দ্র কানুনগো, যিনি বলিউডের দৌলতে হয়েছেন কৃপাণ সিং। এই গুপ্ত সমিতির পক্ষেই ক্ষুদিরাম বসু ও প্রফুল্ল চাকী কিংসফোর্ডকে বোমা নিক্ষেপ করে হত্যার চেষ্টা করেন। মেদিনীপুরের বীর বাঙালি কিশোর ক্ষুদিরাম বসুর পদবী সিনেমায় হয়েছে সিং অন্যদিকে প্রফুল্ল চাকীর নামই মুছে গেছে, শোনা গেছে জনৈক বারিন্দর কুমারের নাম, যেকোন ইতিহাস সচেতন ব্যক্তিই বলতে পারবেন এই নাম আসলে মানিকতলা বোমা মামলার অন্যতম অভিযুক্ত ও পরবর্তীতে আন্দামানে দ্বীপান্তরিত বারীন্দ্র ঘোষের, যিনি সম্পর্কে অরবিন্দ ঘোষের ভাই। এই মানিকতলা বোমা মামলায় বিপ্লবীদের পক্ষে কোর্টে আইনি লড়াই করেন আরেক মহান বাঙালি স্বাধীনতা সংগ্রামী দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ। এই গৌরবজনক অধ্যায় সম্পূর্ণ ভাবে বিকৃত করা হয়েছে, যা বাঙালি জাতি তথা ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রতি চূড়ান্ত অবমাননা।এই বিকৃতির বিরুদ্ধে বাঙালির ক্ষোভের প্রকাশ দেখা যাচ্ছে সামাজিক মাধ্যমে। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী থেকে সংস্কৃতি জগতের নানান ব্যক্তিত্ব এই ইতিহাস তথা মহান স্বাধীনতা সংগ্রামীদের নাম বিকৃতির বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। ভারতীয় বাঙলির জাতীয় সংগঠন বাংলা পক্ষও সরব হয়েছে, আজ তারা পথে নেমে প্রতিবাদ করল কলকাতার বাংলা একাডেমী সংলগ্ন রানুছায়া মঞ্চে। এই প্রতিবাদ সভায় বাংলা পক্ষর সাংগঠনিক সম্পাদক কৌশিক মাইতি বলেন, কেশরী ২ সিমেমার মূখ্য অভিনেতা অক্ষয় কুমার, তিনি কাদের স্বার্থে বিকৃত ইতিহাস প্রচার করে সিনেমা তৈরি করেন এটা আমাদের সকলের জানা৷ বিজেপি ও বলিউডের উদ্দেশ্য বাঙালির গৌরবজনক বীরত্বের ইতিহাস মুছে দেওয়া। সেই উদ্দেশ্যেই বারবার এই ধরনের ঘটনা দেখা যাচ্ছে। বলিউড এর আগেও অভয় ২ সিরিজে বীর শহীদ ক্ষুদিরাম বসুকে ক্রিমিনাল, জঙ্গি হিসাবে দেখিয়েছিল। বাংলা পক্ষ তখন Zee5 কে লিগ্যাল নোটিশ দিয়েছিল এবং সল্টলেকে Zee5 এর অফিসে বিক্ষোভ করেছিল। পরবর্তীতে Zee5 ক্ষমা চেয়ে সেই অংশ বাদ দিতে বাধ্য হয়। শীর্ষ পরিষদ সদস্য অরিন্দম চট্টোপাধ্যায় বলেন যতক্ষণ না পর্যন্ত কেশরী ২ সিনেমার নির্মাতারা ক্ষমা না চায়, বাংলা পক্ষর লড়াই চলবে। ক্ষমা চেয়ে এই দৃশ্য বাদ দিতে হবে। বাঙালি বিদ্বেষীদের কিভাবে ক্ষমা চাওয়াতে হয় সেটা বাংলা পক্ষ ভালো ভাবে জানে।শীর্ষ পরিষদ সদস্য সৌম্যকান্তি ঘোড়ই বলেন, ক্ষুদিরাম বসুকে অপমান মানে বাঙালিকে অপমান। প্রফুল্ল চাকীকে অপমান মানে বাঙালিকে অপমান৷ বীর বিপ্লবী বারীন ঘোষদের অপমানের বিরুদ্ধে এই লড়াই চলবে। অক্ষয় কুমারকে ক্ষমা চাইতেই হবে।এছাড়াও আজকের প্রতিবাদ সভায় উপস্থিত ছিলেন কলকাতা জেলার সম্পাদক সৌম্য বেরা, দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলা সম্পাদক কুশনাভ মন্ডল, শিল্পী পক্ষর অধিকর্তা প্রবাল চক্রবর্তী প্রমুখ। এর আগে বিধাননগর দক্ষিণ থানায় এই সিনেমা নিয়ে একই ইস্যুতে এফআইআর হয়েছে। এমনকী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পর্যন্ত ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন বাঙালি বীর বিপ্লবীদের ইতিহাস বিকৃতি করার জন্য।

জুন ১৯, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

লর্ডসের ঐতিহাসিক শতরানের আলোতেও সমুজ্জ্বল বোলার সৌরভের পারফরম্যান্স

লর্ডসে টেস্ট অভিষেক হয়েছিল সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ও রাহুল দ্রাবিড়ের। দিনটা ছিল ১৯৯৬ র ২০ জুন। এই টেস্টের কথা উঠলেই মহারাজকীয় শতরানের কথাই সবার আগে মনে আসে। যা এসেছিল ২২ জুন।তবে ২০ জুন বল হাতে কামাল দেখিয়েছিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। ইংল্যান্ডের তৃতীয় ও চতুর্থ উইকেট পড়েছিল চার রানের ব্যবধানে। দলের ৯৮ রানের মাথায় সৌরভের প্রথম শিকার হন তিন নম্বরে নামা নাসের হুসেন। ১১০ বলে ৩৬ রান করে তিনি ফেরেন বিক্রম রাঠোরের হাতে ক্যাচ দিয়ে। ১০২ রানে ইংল্যান্ডের চতুর্থ উইকেট পড়ে। ৯ বলে ১ রান করে গ্রেম হিক সৌরভের বলেই জাভাগল শ্রীনাথের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন। প্রথম ইনিংসে সৌরভের বোলিং ফিগার ছিল ১৫-২-৪৯-২। বেঙ্কটেশ প্রসাদ পাঁচটি, শ্রীনাথ তিনটি ও সৌরভ ২টি উইকেট পান। পরশ মামব্রে, অনিল কুম্বলে ও সচিন তেন্ডুলকর উইকেট পাননি। দ্বিতীয় ইনিংসে সৌরভ তুলে নিয়েছিলেন প্রথম ইনিংসে শতরানকারী জ্যাক রাসেলের উইকেট। দ্বিতীয় ইনিংসে মহারাজ ৩ ওভারে মাত্র ৫ রানের বিনিময়ে একটি উইকেট পেয়েছিলেন। ফলে লর্ডসের ঐতিহাসিক শতরানের আলোতেও সমুজ্জ্বল বোলার সৌরভের পারফরম্যান্স।

জুন ১৯, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal